আজ || রবিবার, ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  সাতক্ষীরায় দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধিদের মতবিনিময়       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোভাযাত্রা       তালার মাগুরা কাপপিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন       ধানদিয়ায় কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       খেশরায় কাপ পিরিচে ভোট চেয়ে ঘোষ সনৎ কুমারের গণসংযোগ       খলিলনগরে কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালার খলিষখালীতে কাপপিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন       জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ভিত্তিক অবহিতকরণ সভা       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোডাউন       অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন    
 


উৎসবহীন বাংলা নববর্ষ : বিদায় ১৪২৭, স্বাগত ১৪২৮

বিদায় ১৪২৭, স্বাগত ১৪২৮ । নতুন বছর মানেই নতুন পঞ্জিকা। নতুন দিনক্ষণ । বিদায় সব সময়ই বেদনার। বর্ষবিদায় নানা হিসেব-নিকেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তবে নতুন বছরের আগমনী বার্তা আর পুরোনো বছরের বিদায় বেলায় থাকে উৎসবের রঙ। তবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারও চারপাশে শুধুই কষ্টের প্রতিচ্ছবি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যান্য বছর দিনটিতে আনন্দ উৎযাপন করার জন্য বাঙালি মুখিয়ে থাকলেও এবার ঘর থেকে বেরোতো পারছেন না কেউ। করোনার মতো মহামারির কারণে আমাদের জীবন অবরুদ্ধ। ঘরে বসে দেশের মানুষ মোকাবেলা করছে এই মহামারীর। সেজন্য অন্যান্য পহেলা বৈশাখে বাঙালির মধ্যে যে প্রাণের ছোঁয়া লাগতো এবার তেমনটা হচ্ছে না।
ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে প্রতিবছরের মতো এই দিনটিকে ঘটা করে উদযাপন করতে পারছে না বাঙালি। এবার মিলিত হবার শক্তিতে নয়, গৃহে থেকে সবার কল্যাণ কামনার শক্তিতেই সংস্কৃতিক অভিযাত্রা সত্য-সুন্দরের দিকে এগুবো এমটাই প্রত্যাশা সংস্কৃতিকর্মীদের।
মেলা, পুতুল নাচ, চড়ক-গাজন উৎসবে এবার মাতবে না বাঙালি। হালখাতা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথাও ছিল ব্যবসায়ীদের। না, এবার হাতে থাকছে না হাত। কাঁধ মিলছে না কাঁধে। সত্য-সুন্দরের আগমনের কোনো সুরও বাজছে না। তবে, কি বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা থেমে যাবে? সংস্কৃতি দিয়েই তো বাঙালি কতকিছুর বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করলো। জয়ী হলো। তবে এবার, শক্র অদৃশ্য হলেও তার পদচ্ছাপ, তার বিস্তার দৃশ্যমান সমগ্র বিশ্বজুড়ে। শত্রু সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধে এবার বাঙালির ঢাল ঘরে থাকা। ক্ষণিকের এই নির্বাসন যদি নিজের এবং সকলের জন্য কল্যাণ কামনার হয় তবে এটাই এখন বাঙালি সংস্কৃতির বড় শক্তিতে রূপ নেবে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপন করি। তাহলে আমি নিশ্চিত আগামী বছর আমরা সম্মিলিতভাবে হিসেব-নিকেসটা সঠিকভাবে করতে পারবো। নতুন বছর সবার জন্য নিয়ে আসবে শুভ বারতা এমনটাই সবার প্রত্যাশা।
কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনা শুরু মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে। হিজরি চন্দ্র সন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সাল। ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে।
বাঙ্গালিদের কাছে নতুন বছর মানেই এক নতুন সম্ভাবনা আর নতুন আশায় পথ চলা। তাই বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারিকে পরাভূত করে আগামী দিনগুলোতে বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলতে হবে সকলকে। শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২৮।
##


Top